• রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন
ইন্ডিকেশন:
ওমিগাট ২০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল নিম্নোক্ত অবস্থায় ব্যবহৃত হয়:
গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডেনাল আলসার
নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহবিরোধী ঔষধ ব্যবহারে সৃষ্ট আলসার
গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD)
এসিডজনিত ডিসপেপসিয়া
মারাত্মক রিফ্লাক্স ইসোফ্যাগাইটিস
সাধারণ অ্যানেসথেসিয়ার সময় এসিড নিঃসরণ প্রতিরোধ
জলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম
হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি দ্বারা সৃষ্ট পেপটিক আলসার
ফার্মাকোলজি:
ওমিপ্রাজল একটি বেনজিমিডাজল গ্রুপের ওষুধ যা গ্যাস্ট্রিক প্যারাইটাল কোষের H⁺/K⁺ ATPase এনজাইম সিস্টেমকে বাধা দিয়ে এসিড নিঃসরণ কমায়। মৌখিক সেবনের পর ১ ঘণ্টার মধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়, ২ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় এবং ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
ডোজ ও প্রয়োগবিধি:
গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডেনাল আলসার: ২০ মি.গ্রা. দৈনিক একবার, ৪ সপ্তাহ (ডিওডেনাল) বা ৮ সপ্তাহ (গ্যাস্ট্রিক)
GERD: ২০ মি.গ্রা. দৈনিক একবার, ৪ সপ্তাহ
হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি সংক্রমণ: ২০–৪০ মি.গ্রা. দৈনিক একবার, অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে
জলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম: ৬০ মি.গ্রা. দৈনিক একবার, প্রয়োজনে ২ ভাগে বিভক্ত
ব্যবহার পদ্ধতি:
ক্যাপসুলটি খাবারের আগে বা পরে, সম্পূর্ণভাবে গিলতে হবে। চিবিয়ে বা ভেঙে খাওয়া যাবে না।
ইন্টারঅ্যাকশন:
ওমিপ্রাজল কিছু ওষুধের কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে:
কেটোকোনাজল, ডায়াজিপাম, ফেনাইটয়েন, ওয়ারফারিনের কার্যকারিতা কমাতে পারে।
ক্ল্যারিথ্রোমাইসিনের সাথে সেবনে ওমিপ্রাজলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
কন্ট্রা-ইন্ডিকেশন:
ওমিপ্রাজলের প্রতি অ্যালার্জি বা অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা থাকলে এটি ব্যবহার করা যাবে না। গ্যাস্ট্রিক আলসার সন্দেহ হলে, ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
ত্বকে র্যাশ, চুলকানি
মাথাব্যথা, ডায়রিয়া
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা: বমি, পেটব্যথা
কমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
ঘুমের সমস্যা, মাথা ঘোরা
মানসিক বিভ্রান্তি, অবসাদ
দুর্লভ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
লিভার সমস্যা, রক্তের সমস্যা
অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া, শ্বাসকষ্ট
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালীন ব্যবহার:
গর্ভাবস্থায় ওমিপ্রাজল ব্যবহার নিরাপদ মনে করা হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। স্তন্যদানকালে, ওমিপ্রাজল দুধে প্রবাহিত হতে পারে, তাই প্রয়োজনীয়তা ছাড়া ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।
সতর্কতা ও সতর্কবার্তা:
ক্লোপিডোগ্রেল ও ওমিপ্রাজল একসাথে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে হাড়ের ফ্র্যাকচার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
লিভার বা কিডনি সমস্যা থাকলে ডোজ সমন্বয়ের প্রয়োজন হতে পারে।
থেরাপিউটিক ক্লাস:
প্রোটন পাম্প ইনহিবিটার (PPI)
সংরক্ষণ নির্দেশনা:
২৫–৩০°C তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।
আর্দ্রতা ও সরাসরি রোদ থেকে দূরে রাখুন।
শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।